ইতালি আসতে চান? তাহলে অবশ্যই পড়ুন!!! সতর্কমূলক টিউন পার্ট- ২


 

নরমাল স্পন্সরে আসলে  আপনি কাজ পান বা নাই পান কিন্তু আপনি এখানে এসে কম করে হলেও ১-২ বছরের ওয়ার্ক পারমিট পাবেন  এবং সেটি দিয়ে আপনি চাইলে ইউরোপের অন্যান্য যে কোন দেশ ভ্রমন করতে পাড়বেন সাথে বাংলাদেশেও ঘুরে আসতে পাড়বেন।এবং আপনি এখানের স্কুলে ভর্তি হয়ে ইতালীয়ান ভাষা শিখে কাজ খুঁজার জন্য চেষ্টা করতে পাড়বেন  (যদিও বর্তমানে  নরমাল স্পন্সরে ইতালি আসাটাও মহামারী কিছু না।) তার মধ্যে যদি কেঊ  কৃষি কাজের স্পন্সরে আসে তাহলে তো তার কান্না আর আফসোস ছাড়া কিছুই করার থাকবে না . উনি এখানে এসে কোন কাজ পাবে না এবং তার কোন লিগেল ডকুমেন্ট থাকবেনা … সে চাইলেও দেশে যেতে পারবেনা… যদি যেতে চায় তাহলে একবারের জন্য চলে যেতে হবে। এবং আরো অনেক সমস্যায় পড়বে।
এগ্রিকালচার সিজনাল বা কৃষি ভিসা দালালরা দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করে এবং তা পাচঁ, ছয়, সাত ও আট ,দশ লক্ষে বিক্রি করে। ইতালীতে আসার আগে দালাল রা বলে মাসে বাংলার এক লক্ষ টাকা রোজগার আছে কিন্তু এখানে সবই ভুয়া, প্রধান সমস্যা এখানে বর্তমানে দুই তিন বৎসর ধরে কোন ধরনের কাজ ই পাওয়া যায়না তাই ইতালীতে এসে নিজের মুল্যবান জীবন ও সময় নষ্ট করবেন না, তার সাথে বলতে চাই এই সব দালাল রা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু ,মানুষের শত্রু । বরং সাবধান হয়ে নিজে বাচুঁন ও আপনার বন্দুদেরকে ও বাচাঁন।
আসলে খুব খারাপ লাগে যখন এখানকার নিরুপায় ভাইদের সাথে কথা বলি। তারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে এখানে আসে, আসারপর বুঝতে পারে যে জীবনের সবচাইতে বড় ভুল করে ফেলেছে যার থেকে পিছে ফিরে যাওয়ার কোন পথ খুঁজে পায়না। অনেকের কাছে শুনা যায় যে ইতালীতে আসার জন্য তাদের একমাত্র মাথা গুজার শেষ সম্বল ভিটে-বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে এসেছে এই ইতালিতে … আর এখানে এসে হয়ে যাচ্ছে সম্পূর্ণ নিঃস্ব । না পারছে দেশে ফিরতে না পারছে এখানে কিছু করতে? কি যে এক ভয়াবহ অবস্তায় আছে তা একমাত্র তাদের সাথে কথা বোলেই বুঝা যায়। এতে কিছু সংখ্যক দালাল হয়ে যাচ্ছে লাখপতি আর অসহায়রা হারাচ্ছে সব। কাজেই আমরা একটু সচেতন হলেই পারি এই চক্রের হাত থেকে দেশ কে রক্ষা করতে। আর এটি আমাদের সবার দায়িত্ব।
এখানে আর একটি কথা না বললেই নই যে শুধু দালাল দের দোষ দিলে ভুল হবে কেননা এই স্পন্সরের মাধ্যমে ইতালির সরকার আমাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি ইউরো যা আমরা নরমাল জনগন বুজতে পারি না। যেমন ইতালিতে আগে মানুষ বাই পথে বর্ডার পারি দিয়ে জীবনের রিক্স নিয়ে আসতো , সরকার নানা ভাবে চেষ্টা করেও এটি বন্ধ করতে পারেনি। তাই তারা চুক্তি করে এই লিগেল ভাবে ইতালিতে জনগন আনার বেবস্তা করে ।এতে লুকায়িত আছে তাদের পরিকল্পিত চিন্তা যা নরমাল জনগন বুঝতে পারে না।
এতে ওদের যা যা লাভ হয়।
১- যখন কেউ লিগেল ভাবে ইতালিতে আসতে পারবে তখন কেও আর বর্ডার পারি দিয়ে আসবে না এতে করে তাদের আর এই ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না বর্ডারে আর্মিরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে।
- ইতালিতে ইতালিয়ানরা কর্মী দের দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় ঠিকি কিন্তু সরকারকে পরিপূর্ণ ট্যাক্স দিতো না , আর তাই তারা এই লিগেল ভাবে লোক আনার কথা চিন্তা করে এবং তারা সর্ত দিয়ে দেয় যে বাংলাদেশ থেকে কাওকে আনতে হলে সম্পূর্ণ ট্যাক্স জমা দিতে হবে অন্যথায় আনতে পারবে না , কাজেই ইতালিয়ান মালিক দের দালাল সহ সবাই টাকার লোভ দিয়ে বলে তুমি আমার লোক এনে দাও যত ট্যাক্স হয় তা আমি দিব , এতে করে সরকার আমাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা যা আমরা বুঝেও বুঝতে পারছি না।
- ইতালিতে একসময় বাংলাদেশীদের আলাদা মূল্যায়ন ছিল কেননা লোক সংখ্যা কম তাই যথাযথ মুল্লে কাজ করে পারিশ্রমিক পাওয়া যেত, কিন্তু তারা চিন্তা করে দেখল যদি লিগেল ভাবে আরো  বিদেশী আনা যায় তাহলে আমাদের দেশের ইতালিয়ান মালিকরা তাদের ইচ্ছা মতো কম পরিশ্রমে লোক কাজে লাগাতে পারবে এতে লাভবান হচ্ছে তাদের দেশের ইতালিয়ান মালিক পক্ষ আর সমস্যায় পরছে অসহায় বাংলাদেশী নাগরিক।
- এই স্পন্সর্ জমা দেওয়া নিয়েও তারা করে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ ইউরোর ধান্দা যেমনঃ ওরা প্রতি স্পন্সর্ ঘোষণা দেওয়ার সময় কোঠা উল্লেখ করে দেয় যে বাংলাদেশ থেকে ২০০০ হাজার লোক কে তারা কাগজ দিবে, কিন্তু এখানে আবেদন জমা পরছে ৫ লাখের ও বেশী। উল্লেক্ষঃ এই আবেদন জমা দিতে ১,৫০০ টাকা দিয়ে জমা দিতে হয় এবং এটি ফেরত যোগ্য নয় কাজেই যারা জমা দেই তারা চিন্তা করে যাক আমার না হয় ১৫০০ টাকায় যাবে, পেলে পাবো না পেলে নাই, কিন্তু আমরা এটা চিন্তা করি না যে এই ১৫০০ টাকা ৫ লক্ষ দিয়ে গুন করলে কত হয়।
- তারা খুব ভালো করে চিন্তা করেই এই কাজ গুলো করছে যেমন তারা মজা পেয়ে গেছে আর তাই তারা এখন প্রতি বছর এই স্পন্সর্ ও ইতালিতে থাকা অবৈধ লোকদের বৈধ করার জন্য আইন পাস করে যাচ্ছে কেননা ওরা জানে এতে করে এক সময় প্রচুর বিদেশী এসে জমা হবে এবং যখন তারা কাজ পাবেনা , খেতে পারবেনা এবং নানান সমস্যায় ভুগে নিজে থেকেই হয় তাদের দেশে ফিরে যাবে বা ইটালি ত্যাগ করবে আর এর জন্য তারা তাদের পুলিস প্রশাসনকে তৎপর করে দিয়েছে যাতে কেউ চাইলেও কোন অন্যায় কাজ করতে না পারে। এক কথায় ওরা খ্রিস্টানরা খুব সন্দন ভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে এই কাজ গুলো করে যাচ্ছে কেননা এক সময় তারা জাতিসঙ্ঘের কাছেও ভালো থাকছে এ বলে যে দেখো আমরা কত মহৎ হৃদয়ের যে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় একমাত্র আমরাই বিদেশীদের নিয়ে ভাবছি …… ও এখানে আর একটা কথা তো বলতে ভুলেই গিয়েছি … এই যে প্রতি বছর স্পন্সর্ ও লিগেল করার নাম নিয়ে ওরা যে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তা কোথা থেকে আসছে … এই টাকা আমাদের সম্পদ যা আমাদের প্রবাসী ভায়েরা নানন দেশ থেকে নিজের পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে অর্জন করছে যা আমাদের দেশে ইন করার কথা কিন্তু দুঃখের বিষয় এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওরা। কেননা যখনি কোন স্পন্সর্ বা লিগেল করার কোথা শুনা যায় তখনি আমরা আমাদের ভাই-বোন দের কাছে আপদার করে বসি ভাই যে ভাবেই হোক আমাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে না হলে আমি কাজগ পাবনা … আর আমাদের ভাই- বোনেরাও তাদের ভাইয়ের কথা ফেলতে না পেরে তারা ইংল্যান্ড,আমেরিকা সহ বিশ্বে যে  যেখানে আছে সে খান থেকে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে… তাহলে কি দাঁড়ালো এভাবে ইতালীতে পুরো বিশ্ব থেকে টাকা তাদের ফান্ডে জমা হচ্ছে। তারা আরো অনেক ভাবে অত্যাচার করছে প্রবাসীদের প্রতি তাই আমার একটাই কথা জেগে উঠো বাংলাদেশ। নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাও আর সবাই কে জানিয়ে দাউ আমিওপারি।এক কথায় জেগে উঠো বাংলাদেশ।
ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন কেননা এটি আপনার,আমার ও আমাদের সবার দায়িত্ব।আপনার এই কাজটির জন্য হয়তো বেঁচে যাবে অনেকের জীবন। ধন্যবাদ
(copy)
Share on Google Plus

About Jessica Hornberger

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment