বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ, সৌদি আরব
১- যারা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেনঃ
• ৬ই এপ্রিল ২০১৩ তারিখের পূর্বে যাদের ইকামা ও ওয়ার্ক পারমিতের বৈধতা শেষ হয়েছে তাদের-
• কোন প্রকার শাস্তি বা জরিমানা হবেনা।
• তারা আগের নিয়োগকর্তার নিকট ফেরত যেতে পারবেন, অথবা
• অন্য কোন নতুন নিয়গকর্তার নিকট ট্রান্সফার হতে পারবেন। এজনয আগের নিয়োগকর্তার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
২- নিয়োগকর্তার কতৃর্ক পলাতক ( হুরুব)) ঘোষিত ঃ
• যে সকল প্রবাসী কর্মী নিয়োগকর্তা পলাতক ( হুরুব) ঘোষিত হয়েছে কিংবা অনুপস্থিত রয়েছেন-
• তারা আগের নিয়োগকর্তার নিকট পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ফেরত যেতে পারবেন, অথবা
• নতুন কোন নিয়োগকর্তার নিকট ট্রান্সফার হতে পারবেন। এ জন্য আগের নিয়োগকর্তার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
• আগের নিয়োগকর্তার সাথে পাওনা বা অধিক্রার সংক্রান্ত কোন বিরোধ থাকলে তা সংশ্লিষ্ট বিচার কতৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
• ট্র্যান্সফা করতের পারবেন।
৩- যাদের কফিল নাইঃ
• কোন বিদেশী ইনভেস্টের সৌদি আরব হতে ফাইনাল এক্সিটে চলে গেলে এবগ্ন তার কোন প্রতিনিধি পাওয়া না গেলে তাঁর অধীনে যে সকল প্রবাসীরা কর্মরত আছেন-
• তারা আগের নিয়োগকর্তার অনুমিত ছাড়াই নতুন নিয়োগকর্তার পরিবর্তন ( নকল কাফালা ) করতে পারবেন অথবা এক্সিট ভিসায় চলে যেতে পারবেন।
৪- হজ্জ/ ওমরাহ ভিসায় আগত অবৈধ অবস্থানকারী ঃ
• ২০০৮ এর ০৩ জুলাই পূর্বে হজ্জ / ওমরাহ ভিসায় আগত অবৈধ অবস্থানকারীগন –
• কোন ব্যক্তির অধীনে গ্রহকর্মী হিসাবে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জাওয়াজাতের মাধ্যমে তাদেরকে বৈধ হতে হবে।
• কোন বেসরকারি প্রতিস্থানে শ্রমিক হিসবে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে জাওয়াযাত তাদের তথ্য এন্ট্রি করবে এবং শ্রম অফিস শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিস্থানের উপযুক্ততা যাচাইপূর্বক বৈধ হওয়া যাবে।
• তবে যারা ০৩/০৭/২০০৮ তারিখের পর ওমরাহ কিংবা হজ্জ ভিসায় সৌদি আরবে এসেছেন তাদেরকে আউটপাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে যেতে হবে।
৫- ইকামা ট্র্যান্সফার বা স্পন্সরশীপ পরিবর্তন ঃ যে কোন প্রবাসী কর্মী স্পন্সর পরিবর্তন করতে পারবেন-
• নিয়োগকর্তা কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট এবং ইকামা চালু না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মী চুক্তি বাতিল করে অন্য নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে ট্রান্সফার হতে পারবেন। এক্ষেত্রে আগের নিয়োগকর্তার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
• নিয়োগকর্তার ট্রান্সফারের গ্রহকর্মীগন কোন প্রাইভেট প্রতিস্থানে ট্রান্সফার হতে চাইলে বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমতিক্রমে ট্রান্সফার নিতে পারবেন। শ্রম অফিসের মাধ্যমে ট্রান্সফার সম্পন্ন হবে।
• বৈধভাবে অবস্থানকারী গ্রহকর্মীগন কোন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সফার হতে চাইলে বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমতিক্রমে ট্রান্সফার নিতে পারবেন। শ্রম অফিসের মাধ্যমে ট্রান্সফার সম্পন্ন হবে।
• ০৬/০৪/২০১৩ইং তারিখের পর যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সফার হওয়া যাবেনা।
ইকামা ট্রান্সফার করার পদ্ধতিঃ কম্পানির অধীনে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য ঃ
• প্রথমে নতুন কফিলের সাথে বেতনাদি ঠিক করে নিতে হবে।
• কোম্পানি তাঁর পাসওয়ার্ড দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজ অফিস থেকে ইকামা ট্রান্সফার করতে পারবে।
• কোম্পানির পাসওয়ার্ড না থাকলে পাসপোর্ট , ইকামা বা এদুটির ফটোকপি এবং দিমান্দ লেটারসহ কোম্পানির প্রতিনিধিকে সাথে করে মাকতাবুল আমলে ( পুলিশ অফিস) গিয়ে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য মাকতাবুল আমল ( লেবার অফিস) হতে অনুমোদনের কপি ও রেফারেন্স নম্বর নিতে হবে।
• মাকতাবুল আমল ( লেবার অফিস) এর অনুমোদনের কপি অ রেফারেন্স নম্বর নিয়ে যাওয়াযাত অফিসে গিয়ে ইকামা ট্রান্সফার এর ফি জেনে নিতে হবে।
• তাঁরপর আও-রাজী ব্যাংক বা রিয়াদ ব্যাংক গিয়ে নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ফি জাম দিতে হবে।
• এর পর যাওয়াযাত ( পুলিশ) অফিসের ইকামা ট্রান্সফার সেকশনে গিয়ে নতুন কফিলের অধীনের নতুন ইকামা গ্রহণ করতে হবে।
• তবে কেউ যদি বৈধভাবে কর্মরত থাকেন এবং তাঁর ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হয় তাহলে তাঁর ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য পুরাতন কফিলের নিকট থেকে অনুমিত নিতে হবে।
ব্যক্তি কফিলের অধীনে হাউজ ড্রাইভার, হারেস অ অন্যান্য গ্রহকর্মী হিসেবে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য। ঃ
• প্রথমে নতুন কফিলের ( মালিক) সাথে বেতনাদি ঠিক করে নিতে হবে।
• গ্রহকর্মী হিসেবে ইকামা ট্রান্সফার করা জন্য পাসপোর্ট , ইকামা বা এ দুটির ফতোকফি এবং ডিমান্ড লেটারস নতুন কফিলকে সাথে করে যাওয়াজাতে (পুলিশ) অফিসে যেতে হবে।
• পুলিশ অফিস হতে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।
• তারপর আল-রাজী বা রিয়াদ ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট নাম্বারে তান্সফার ফি জামা দিতে হবে।
• তাঁর পুলিশ অফিস হতে নুত্ন কফিলের অধীনে নতুন ইকামা গ্রহণ করতে হবে।
• তবে হাউন ড্রাইভার, হারেস ( অফিস বা হাউস গার্ড ) ও অন্যান্য গ্রহকর্মী যদি বৈধভাবে কর্মরত থাকেন এবং তাঁর ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হয় তাহলে তাঁর ইকামা ট্রান্সফার কারা জন্য পুরাতন কফিলসের অনুমিতি নিতে হবে।
৬- পেশা পরিবর্তন পদ্ধতিঃ
• কোম্পানি তাঁর পাসওয়ার্ড দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাঁর অধীনস্থ সকল শ্রমিকের পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন।
• তবে কোণ কোম্পানিরর বা কফিলের পাসওয়ার্ড না থাকলে প্রথমে কফিলের নিকট থেকে পেশা পরিবর্তনের আবেদন ফ্রমশ কফিলকে নিয়ে পুলিশ অফিসে গিয়ে পেশা পরিবর্তন করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।
পেশা পরিবর্তন এর পদ্ধতিঃ
• কোম্পানি তাঁর পাসওয়ার্ড দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজ অফিস থেকে ইকামা ট্রান্সফার করতে পারবে।
• তবে কোন কোম্পানির বা কফিলের পাসওয়ার্ড না থাকলে প্রথমে কফিলের নিকট থেকে পেশা পরিবর্তনের আবেদন ফরম স্টাম্প বা শীল মেরে নিতে হবে।
• কফিল বাক্তি হলে পাসপোর্ট, ইকামা বা এদুটির ফটোকপি, পেশাগ্যতার সার্টিফিকেট এবং নির্ধারিত অয়াবেদন ফর্মসহ কফিলকে নিয়ে লেবার অফিসে গিয়ে পেশা পরিবর্তন করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।
• পেশা পরিবর্তন করার অনুমোদন পাওয়ার পর জাওয়াজাত ( পুলিশ ) অফিস হতে নতুন কফিলের অধীনে নতুন ইকামা গ্রহণ করতে হবে।
৭- দেশে প্রত্যাবর্তন ( ফাইনাল এক্সিট) ঃ যারা আগামি ০৩/০৭/২০১৩ তারিখের মধ্যে সৌদি আরব থেকে ফাইনাল এক্সিট ভিসা নিয়ে দেশে চলে যেতে চানঃ
• তাদেরকে অতিতের অপরিশোধিত ইকামা ও ওয়ার্ক পারমিট ফি দিতে হবে না এবং কোন প্রকার শাস্তি ও জরিমানা হবে না।
• দেশ ট্যাগের সময় তাদের হাতের ছাপ ( ফিঙ্গার প্রিন্ট) ) রেকর্ড করা হবে।
• তারা ইচ্ছা করলে পরবর্তিতে তারা নতুন ভিসায় সৌদি আরব আগমন করতে পারবেন।
• দেশে প্রত্যাবর্তনের কার্যক্রম পুলিশ বা ইমিগ্রেশন বিভাগে প্রয়োজনীয় কাগজ যেমন ইকামার কপি অথবা পাসপোর্ট ভিসার কপি অথবা ফিঙ্গার প্রিন্টের কপি অথবা পুলিশ প্রিন্টের কপিসহ আউট জমা দিয়ে এক্সিট নিতে হবে।
৮- দূতাবাস হতে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহের নিয়ামাবলীঃ
• যাদের নিকট মেয়াদোতীর্ণ পাসপোর্ট র্যেছে তারা দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখায় হতে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেন।
• যাদের পাসপোর্ট বর্তমান কফিলের নিকট র্যেছে তারা কফিলের নিকট থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন, প্রয়োজনে মাতাবুল আমাল ও নতুন জফিলের সহযোগিতা নিতে পারেন।
• জাদেরকে কফিল হুরুব ( ছেড়ে) দিয়েছেন অথবা যাদের পাসপোর্ট নাই তারা নতুন পাসপোর্ট জন্য নিম্নক্ত কাগজপত্র স্নগজুক্ত করে আবেদন করতে পারেনঃ
# ০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি সহ আবেদন পত্র এবং আর্জেন্ট ফি ২৫০ রিয়াল
# জাওয়াযাত প্রিন্ট
# পাসপোর্ট ফটোকপি
# ইকামার ফটোকপি
৯- বিশেষভাবে লক্ষণীয় ঃ
• সৌদি আরবে অবস্থানকারী সকল প্রবাসী বাংলাদেশী আগামী ০৩ জুলাই ২০১৩ এর মধ্যে ইকামা ট্রান্সফার ও পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন
• ০৩ জুলাই ২০১৩ তারিখের পরে বৈধভাবে অবস্থানকারী প্রবাসী শ্রমিককে কাজে নিয়োগ/ পরিবহন /আশ্রয় প্রদান দন্তনীয় অপরাধ যার শাস্তি ২ বছর কারাদণ্ড সহ ১,০০,০০০ রিয়াল ( প্রায় ২০,৮৫,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
• অবৈধভাবে অবস্থানকারীগন নির্ধারিত স্ম্যসিমার মধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন না করলে, বিলম্বের জন্য জেল ও জরিমানার সন্মখীন হবেন।
• আগামী ০৩ জুলাই ২০১৩ তারিখের পরপরই ফ্রি ভিসায় কর্মরত শ্রমিক অ অন্যান্য অবৈধ শ্রমিক , কোম্পানি, কফিলদের বিরুদ্ধে আটক অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।
• সৌদি সরকার ফ্রি ভিসা ব্দনহ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সেহেতু ফ্রি ভিসায় যারা কর্মরত আছেন তাদেরকে অতি শীঘ্র প্রকৃত কর্মের ভিত্তিতে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
• জাল পাসপোর্ট ই ইকামা এবগ্ন অন্য যে কোন জাল ডুকুমেন্ট ব্যবহার ক্রেলে জেল জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
• তাই সবাইকে সৌদি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অত্যন্ত সীমিত স্ম্যের এ সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের ইকামা ট্রানফার, পেশা পরিবর্তন ও আউটপাস সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি:
১- যারা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেনঃ
• ৬ই এপ্রিল ২০১৩ তারিখের পূর্বে যাদের ইকামা ও ওয়ার্ক পারমিতের বৈধতা শেষ হয়েছে তাদের-
• কোন প্রকার শাস্তি বা জরিমানা হবেনা।
• তারা আগের নিয়োগকর্তার নিকট ফেরত যেতে পারবেন, অথবা
• অন্য কোন নতুন নিয়গকর্তার নিকট ট্রান্সফার হতে পারবেন। এজনয আগের নিয়োগকর্তার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
২- নিয়োগকর্তার কতৃর্ক পলাতক ( হুরুব)) ঘোষিত ঃ
• যে সকল প্রবাসী কর্মী নিয়োগকর্তা পলাতক ( হুরুব) ঘোষিত হয়েছে কিংবা অনুপস্থিত রয়েছেন-
• তারা আগের নিয়োগকর্তার নিকট পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ফেরত যেতে পারবেন, অথবা
• নতুন কোন নিয়োগকর্তার নিকট ট্রান্সফার হতে পারবেন। এ জন্য আগের নিয়োগকর্তার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
• আগের নিয়োগকর্তার সাথে পাওনা বা অধিক্রার সংক্রান্ত কোন বিরোধ থাকলে তা সংশ্লিষ্ট বিচার কতৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
• ট্র্যান্সফা করতের পারবেন।
৩- যাদের কফিল নাইঃ
• কোন বিদেশী ইনভেস্টের সৌদি আরব হতে ফাইনাল এক্সিটে চলে গেলে এবগ্ন তার কোন প্রতিনিধি পাওয়া না গেলে তাঁর অধীনে যে সকল প্রবাসীরা কর্মরত আছেন-
• তারা আগের নিয়োগকর্তার অনুমিত ছাড়াই নতুন নিয়োগকর্তার পরিবর্তন ( নকল কাফালা ) করতে পারবেন অথবা এক্সিট ভিসায় চলে যেতে পারবেন।
৪- হজ্জ/ ওমরাহ ভিসায় আগত অবৈধ অবস্থানকারী ঃ
• ২০০৮ এর ০৩ জুলাই পূর্বে হজ্জ / ওমরাহ ভিসায় আগত অবৈধ অবস্থানকারীগন –
• কোন ব্যক্তির অধীনে গ্রহকর্মী হিসাবে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জাওয়াজাতের মাধ্যমে তাদেরকে বৈধ হতে হবে।
• কোন বেসরকারি প্রতিস্থানে শ্রমিক হিসবে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে জাওয়াযাত তাদের তথ্য এন্ট্রি করবে এবং শ্রম অফিস শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিস্থানের উপযুক্ততা যাচাইপূর্বক বৈধ হওয়া যাবে।
• তবে যারা ০৩/০৭/২০০৮ তারিখের পর ওমরাহ কিংবা হজ্জ ভিসায় সৌদি আরবে এসেছেন তাদেরকে আউটপাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে যেতে হবে।
৫- ইকামা ট্র্যান্সফার বা স্পন্সরশীপ পরিবর্তন ঃ যে কোন প্রবাসী কর্মী স্পন্সর পরিবর্তন করতে পারবেন-
• নিয়োগকর্তা কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট এবং ইকামা চালু না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মী চুক্তি বাতিল করে অন্য নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে ট্রান্সফার হতে পারবেন। এক্ষেত্রে আগের নিয়োগকর্তার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
• নিয়োগকর্তার ট্রান্সফারের গ্রহকর্মীগন কোন প্রাইভেট প্রতিস্থানে ট্রান্সফার হতে চাইলে বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমতিক্রমে ট্রান্সফার নিতে পারবেন। শ্রম অফিসের মাধ্যমে ট্রান্সফার সম্পন্ন হবে।
• বৈধভাবে অবস্থানকারী গ্রহকর্মীগন কোন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সফার হতে চাইলে বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমতিক্রমে ট্রান্সফার নিতে পারবেন। শ্রম অফিসের মাধ্যমে ট্রান্সফার সম্পন্ন হবে।
• ০৬/০৪/২০১৩ইং তারিখের পর যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সফার হওয়া যাবেনা।
ইকামা ট্রান্সফার করার পদ্ধতিঃ কম্পানির অধীনে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য ঃ
• প্রথমে নতুন কফিলের সাথে বেতনাদি ঠিক করে নিতে হবে।
• কোম্পানি তাঁর পাসওয়ার্ড দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজ অফিস থেকে ইকামা ট্রান্সফার করতে পারবে।
• কোম্পানির পাসওয়ার্ড না থাকলে পাসপোর্ট , ইকামা বা এদুটির ফটোকপি এবং দিমান্দ লেটারসহ কোম্পানির প্রতিনিধিকে সাথে করে মাকতাবুল আমলে ( পুলিশ অফিস) গিয়ে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য মাকতাবুল আমল ( লেবার অফিস) হতে অনুমোদনের কপি ও রেফারেন্স নম্বর নিতে হবে।
• মাকতাবুল আমল ( লেবার অফিস) এর অনুমোদনের কপি অ রেফারেন্স নম্বর নিয়ে যাওয়াযাত অফিসে গিয়ে ইকামা ট্রান্সফার এর ফি জেনে নিতে হবে।
• তাঁরপর আও-রাজী ব্যাংক বা রিয়াদ ব্যাংক গিয়ে নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ফি জাম দিতে হবে।
• এর পর যাওয়াযাত ( পুলিশ) অফিসের ইকামা ট্রান্সফার সেকশনে গিয়ে নতুন কফিলের অধীনের নতুন ইকামা গ্রহণ করতে হবে।
• তবে কেউ যদি বৈধভাবে কর্মরত থাকেন এবং তাঁর ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হয় তাহলে তাঁর ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য পুরাতন কফিলের নিকট থেকে অনুমিত নিতে হবে।
ব্যক্তি কফিলের অধীনে হাউজ ড্রাইভার, হারেস অ অন্যান্য গ্রহকর্মী হিসেবে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য। ঃ
• প্রথমে নতুন কফিলের ( মালিক) সাথে বেতনাদি ঠিক করে নিতে হবে।
• গ্রহকর্মী হিসেবে ইকামা ট্রান্সফার করা জন্য পাসপোর্ট , ইকামা বা এ দুটির ফতোকফি এবং ডিমান্ড লেটারস নতুন কফিলকে সাথে করে যাওয়াজাতে (পুলিশ) অফিসে যেতে হবে।
• পুলিশ অফিস হতে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।
• তারপর আল-রাজী বা রিয়াদ ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট নাম্বারে তান্সফার ফি জামা দিতে হবে।
• তাঁর পুলিশ অফিস হতে নুত্ন কফিলের অধীনে নতুন ইকামা গ্রহণ করতে হবে।
• তবে হাউন ড্রাইভার, হারেস ( অফিস বা হাউস গার্ড ) ও অন্যান্য গ্রহকর্মী যদি বৈধভাবে কর্মরত থাকেন এবং তাঁর ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হয় তাহলে তাঁর ইকামা ট্রান্সফার কারা জন্য পুরাতন কফিলসের অনুমিতি নিতে হবে।
৬- পেশা পরিবর্তন পদ্ধতিঃ
• কোম্পানি তাঁর পাসওয়ার্ড দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাঁর অধীনস্থ সকল শ্রমিকের পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন।
• তবে কোণ কোম্পানিরর বা কফিলের পাসওয়ার্ড না থাকলে প্রথমে কফিলের নিকট থেকে পেশা পরিবর্তনের আবেদন ফ্রমশ কফিলকে নিয়ে পুলিশ অফিসে গিয়ে পেশা পরিবর্তন করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।
পেশা পরিবর্তন এর পদ্ধতিঃ
• কোম্পানি তাঁর পাসওয়ার্ড দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজ অফিস থেকে ইকামা ট্রান্সফার করতে পারবে।
• তবে কোন কোম্পানির বা কফিলের পাসওয়ার্ড না থাকলে প্রথমে কফিলের নিকট থেকে পেশা পরিবর্তনের আবেদন ফরম স্টাম্প বা শীল মেরে নিতে হবে।
• কফিল বাক্তি হলে পাসপোর্ট, ইকামা বা এদুটির ফটোকপি, পেশাগ্যতার সার্টিফিকেট এবং নির্ধারিত অয়াবেদন ফর্মসহ কফিলকে নিয়ে লেবার অফিসে গিয়ে পেশা পরিবর্তন করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।
• পেশা পরিবর্তন করার অনুমোদন পাওয়ার পর জাওয়াজাত ( পুলিশ ) অফিস হতে নতুন কফিলের অধীনে নতুন ইকামা গ্রহণ করতে হবে।
৭- দেশে প্রত্যাবর্তন ( ফাইনাল এক্সিট) ঃ যারা আগামি ০৩/০৭/২০১৩ তারিখের মধ্যে সৌদি আরব থেকে ফাইনাল এক্সিট ভিসা নিয়ে দেশে চলে যেতে চানঃ
• তাদেরকে অতিতের অপরিশোধিত ইকামা ও ওয়ার্ক পারমিট ফি দিতে হবে না এবং কোন প্রকার শাস্তি ও জরিমানা হবে না।
• দেশ ট্যাগের সময় তাদের হাতের ছাপ ( ফিঙ্গার প্রিন্ট) ) রেকর্ড করা হবে।
• তারা ইচ্ছা করলে পরবর্তিতে তারা নতুন ভিসায় সৌদি আরব আগমন করতে পারবেন।
• দেশে প্রত্যাবর্তনের কার্যক্রম পুলিশ বা ইমিগ্রেশন বিভাগে প্রয়োজনীয় কাগজ যেমন ইকামার কপি অথবা পাসপোর্ট ভিসার কপি অথবা ফিঙ্গার প্রিন্টের কপি অথবা পুলিশ প্রিন্টের কপিসহ আউট জমা দিয়ে এক্সিট নিতে হবে।
৮- দূতাবাস হতে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহের নিয়ামাবলীঃ
• যাদের নিকট মেয়াদোতীর্ণ পাসপোর্ট র্যেছে তারা দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখায় হতে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেন।
• যাদের পাসপোর্ট বর্তমান কফিলের নিকট র্যেছে তারা কফিলের নিকট থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন, প্রয়োজনে মাতাবুল আমাল ও নতুন জফিলের সহযোগিতা নিতে পারেন।
• জাদেরকে কফিল হুরুব ( ছেড়ে) দিয়েছেন অথবা যাদের পাসপোর্ট নাই তারা নতুন পাসপোর্ট জন্য নিম্নক্ত কাগজপত্র স্নগজুক্ত করে আবেদন করতে পারেনঃ
# ০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি সহ আবেদন পত্র এবং আর্জেন্ট ফি ২৫০ রিয়াল
# জাওয়াযাত প্রিন্ট
# পাসপোর্ট ফটোকপি
# ইকামার ফটোকপি
৯- বিশেষভাবে লক্ষণীয় ঃ
• সৌদি আরবে অবস্থানকারী সকল প্রবাসী বাংলাদেশী আগামী ০৩ জুলাই ২০১৩ এর মধ্যে ইকামা ট্রান্সফার ও পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন
• ০৩ জুলাই ২০১৩ তারিখের পরে বৈধভাবে অবস্থানকারী প্রবাসী শ্রমিককে কাজে নিয়োগ/ পরিবহন /আশ্রয় প্রদান দন্তনীয় অপরাধ যার শাস্তি ২ বছর কারাদণ্ড সহ ১,০০,০০০ রিয়াল ( প্রায় ২০,৮৫,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
• অবৈধভাবে অবস্থানকারীগন নির্ধারিত স্ম্যসিমার মধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন না করলে, বিলম্বের জন্য জেল ও জরিমানার সন্মখীন হবেন।
• আগামী ০৩ জুলাই ২০১৩ তারিখের পরপরই ফ্রি ভিসায় কর্মরত শ্রমিক অ অন্যান্য অবৈধ শ্রমিক , কোম্পানি, কফিলদের বিরুদ্ধে আটক অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।
• সৌদি সরকার ফ্রি ভিসা ব্দনহ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সেহেতু ফ্রি ভিসায় যারা কর্মরত আছেন তাদেরকে অতি শীঘ্র প্রকৃত কর্মের ভিত্তিতে ইকামা ট্রান্সফার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
• জাল পাসপোর্ট ই ইকামা এবগ্ন অন্য যে কোন জাল ডুকুমেন্ট ব্যবহার ক্রেলে জেল জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
• তাই সবাইকে সৌদি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অত্যন্ত সীমিত স্ম্যের এ সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
Blogger Comment
Facebook Comment