Ayesha Khanam Mishu:A Fake lover based on true story
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কেমন আছো, কাকে বলবো?
সবাই দিব্যি ভালো থাকার ভান করে আছে.....
কথা রেখো, কাকে বলবো?
সবার কাঁধে একটা করে কথা না রাখার কথার পাহাড়......
- রুদ্র গোস্বামী
Image : Ayesha Khanom FB messenger image ( left side is real name)
আজ আমি কথা বলবো আমার প্রাক্তন (Himi) কে নিয়ে। যার আসল নাম আয়েশা খানম মিশু। কিন্তু ফেসবুক নকল নাম অনিরাজ জামান আয়েশা। ফেসবুক প্রোফাইল লিঙ্ক Ayesha Khanom Mishu । সৎ সাহস থাকলে ফেসবুক আইডি এক্টিভ রেখো। তাকে আমি এখনও ভালবাসি কারণ আমি তারমতো স্বার্থপর নই। আমার আশেপাশের লোকজন বলে আমার আবেগ বেশি, থাক না ভাই আমার আবেগগুলো আমার কাছে যত্ন করে। আমি আবেগ এবং বাস্তবতা নিয়ে জীবন চালাই। আমি আমার প্রাক্তন (আয়েশা খানম) এর মতো স্বার্থপর নই। অবশ্যই সে আমার চাইতে অনেক কিছু বেশি বোঝে, বিশেষ করে টাকা। সে হয়তো আমাকে -------, তার জন্য আমি প্রস্তুত। তারপরও আমি সত্য কথা বলবই। যাই হোক আমরা মূল বিষয়ে ফিরে যাই-
Image : Ayesha Khanom FB image ( left side is real name)
পরিচিতি পর্ব (আয়েশা খানম মিশু বা অনিরাজ জামান আয়েশা)
আয়েশা খানম মিশু বা অনিরাজ জামান আয়েশা, হয়তোবা ভবিষ্যতে অন্য কোনও নাম নিতে পারে। কুমিল্লা জেলার মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা । এলাকার লোকজন তার এবং তার পরিবার সম্পর্কে অনেক ভাল জানে। কারণ এলাকার লোকজন তার কাজকর্ম সম্পর্কে তেমন জানে না। জেনে অবাক হবেন যে কুমিল্লা অনলাইন কমিটির সদস্যরাও তাকে খুব ভাল জানে। এর কারণ হলো তার মিষ্টি মধুর কথা এবং মানুষকে ম্যানেজ করতে পারার ক্ষমতা তার প্রধান গুন। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন তার বিষয়ে, তাহলে এককথায় বলবো সে অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী মানুষ। যার কাছে টাকা ছাড়া অন্য কোনোকিছুর দাম নাই। তিনি টাকার জন্য সবকিছুই করতে পারেন। আমার ধারণা যার সাথে তার বিয়ে হবে তার জীবন তেজপাতা হতে বেশি সময় লাগবে না। সম্পর্কের শুরুতে আমি ভেবেছিলাম সে অত্যন্ত ভালো মানুষ । কিন্তু ভুল সবই ভুল। আয়েশা খানম মিশু আছিয়া মেমোরিয়াল একাডেমী স্কুল এর প্রধান শিক্ষক( তথ্যটি সত্য কিনা জানি না)। কারণ ম্যাডাম এই ইনফরমেশন দিয়েছিলো। এবং এই কারণে তিনি পশ্চিম চাঁদপুর, কুমিল্লা জেলায় অনেক পরিচিত মুখ। তবে তার আসল চেহারা সম্পর্কে কেউ জানে না।
সম্পূর্ণ নামঃ আয়েশা খানম মিশু (হিমি) Ayesha Khanam Mishu (Himi)
আছিয়া মেমোরিয়াল একাডেমী |
সম্পূর্ণ নামঃ আয়েশা খানম মিশু (হিমি) Ayesha Khanam Mishu (Himi)
এন আই ডি নাম্বারঃ ১৯৮৬১২২৬৩০৮৬০২২৬২ / 19861226308602262
পিতার নামঃ আমি সমস্ত পিতাদের সম্মান করি তাই প্রকাশ করলাম না।
মাতার নামঃ আমি সমস্ত মাতাদের সম্মান করি তাই প্রকাশ করলাম না।
স্থায়ী ঠিকানাঃ
গ্রামঃ গানপুর থানাঃ কসবা পোস্টঃ বারোই জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নানুর বাড়ি : মোগলটুলী (হাইস্কুল গেট সংলগ্ন) আদর্শ সদর, কুমিল্লা।
তারা সেখানে বাস করে না এখন, কারণ জায়গাটি ডেভেলপারকে হ্যান্ডওভার করা হয়েছে।
তারা সেখানে বাস করে না এখন, কারণ জায়গাটি ডেভেলপারকে হ্যান্ডওভার করা হয়েছে।
Image : Ayesha Khanam Mishu (Himi) ( 2 years ago) |
আয়েশা খানম মিশুর ফেসবুক প্রোফাইল বিশ্লেষণ
আমি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তার ফেসবুক প্রোফাইল বিশ্লেষণ করেছি। আমি সাধারণত কারো ফেসবুক আইডি এনালাইসিস করি না। তাই ম্যাডাম এর আইডি এনালাইসিস করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। সেই এনালাইসিস রিপোর্ট নাহয় নাই দিলাম।
তারপরও একটা কমেন্ট দেখেছিলাম “আবার ফেসবুক এ অ্যাক্টিভ হলেন ৬/৭ মাস পর”( সথিক ভাবে লাইনটা মনে করতে পারছি না)। পরে সেই কমেন্টটি খুঁজে পাই নি । ম্যাডাম ডিলিট করে দিয়েছেন হয়তো। ডিলিট করার কারণ কি হতে পারে? আমিও একবার একটা কমেন্ট করেছিলাম। সেটা উনি ডিলিট করে দিয়েছিলেন। বুঝতে পারি কোনো ঝামেলা আছে? পাঠক আপনারাই চিন্তা করে দেখুন।
তারপরও একটা কমেন্ট দেখেছিলাম “আবার ফেসবুক এ অ্যাক্টিভ হলেন ৬/৭ মাস পর”( সথিক ভাবে লাইনটা মনে করতে পারছি না)। পরে সেই কমেন্টটি খুঁজে পাই নি । ম্যাডাম ডিলিট করে দিয়েছেন হয়তো। ডিলিট করার কারণ কি হতে পারে? আমিও একবার একটা কমেন্ট করেছিলাম। সেটা উনি ডিলিট করে দিয়েছিলেন। বুঝতে পারি কোনো ঝামেলা আছে? পাঠক আপনারাই চিন্তা করে দেখুন।
এরকম ভালোবাসার অভিনয় আরও কতজনের সাথে করেছ?
আয়েশা খানম মিশুর ভাইবোনের তথ্যঃ
১) অমি তুসারঃ তার( Omi Tusher) সম্পর্কে আমি যা জানি তা তার বড় বোনের কাছ থেকে। জানি না সে মিথ্যা বলেছিলো কিনা ?
অমি তুষার কার্যকলাপ – ১
তিনি “আমার শখ” পেজ এ অন্য কাউকে দিয়ে হুমকি এবং আমার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। এই পেজ-এ হুমকি দেয়ার কারণে আমি ওই ভাইয়ের জন্য থানায় জিডি করেছি। যদিও তার হুমিকির মেসেজ গুলোর ইনফরমেশন ভুল ছিলো। নিচে তার মেসেজ এর স্ক্রীন শট দেয়া হলো যা
Omi tusher’s Beauty saloon এ “আমার শখ” পেজটি ডিএক্টিভ করার জন্য পোস্ট দেয়া হয়েছিলো।
অমি তুষার কার্যকলাপ – ৩
অমি তুষার ( Omi Tusher) এবং আমার ( Omitusher’s Beauty saloon এর একজন মেম্বার) সাথে ফেসবুক মেসেঞ্জার এ কথোপকথন স্ক্রীনশট সহ তুলে ধরা হলো। প্রয়োজনে স্ক্রীনশট গুলো ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
আমিঃ হাই আপু, আনিরাজ জামান আয়েশা কি আপনার বোন? (আসল নাম হলো আয়েশা খানম মিশু) Aisha Khanom Misho
আমিঃ হাই আপু, আনিরাজ জামান আয়েশা কি আপনার বোন? (আসল নাম হলো আয়েশা খানম মিশু) Aisha Khanom Misho
অমি তুষারঃ হ্যালো, কেনো আপু?
আমিঃ আমাকে ইনবক্স এ কে জানি আপনার আপুর(Ayesha Khanom Mishu) সম্পর্ক এবং টাকা নিয়ে মেসেজ দিয়েছিল।
অমি তুষারঃ তোমাকেও দিছিল, হূম হ্যাকার। হ্যাকার এর বিপক্ষে স্টেপ নিছি।
আমিঃ হ্যাকার মেসেজ দিছিল নাকি আপু?
অমি তুষারঃ হূম সবাইকে দিছে। পেজের যত সদস্য ছিলো।
আমিঃ সম্পর্ক এবং টাকা এইগুলা কি সব ভূয়া?
অমি তুষারঃ শোনো আপু, কাহিনী আছে। নয়তো সে এটা করতো না। বুঝচ্ছ। সে আপুর সাথে পড়াশুনা করতো। আপুর বন্ধু। কিন্তু মোটামুটি অনেকটা সাইকো। সে গ্রামে থাকে। সে আপুকে পছন্দ করে কিন্তু আপু পছন্দ করে না। এখন আপু ম্যাচিউর, এম বি এ কমপ্লিট। আপুকে তো জোর করে উনি অথবা আমরা বিয়ে দিতে পারব না। উনি বলে আপুকে বিয়ে করবে আম্মুর কাছে এ প্রস্তাব দিবে। কিন্তু অনেকের কাছে জানতে পারি তার মানসিক সমস্যা। আম্মু শুনে সরাসরি না করে দিছে। আপু তো প্রথম থেকেই মানা। পাগল বুদ্ধি বের করছে। আপুর লিস্ট এর সব বন্ধুদের বলছে আপুর অনেক টাকা নিছে। আপুর উনার সম্পর্ক ২ বছর+
আমিঃ সম্পর্ক ছিলো না।
অমি তুষারঃ আরে না। আমরা তো আপুকে আপুর পছন্দে বিয়ে দিব।কিন্তু ছেলেটারে তো আপু পছন্দ করে না। কারণ সে কলেজ এ থাকতে মাঝে মাঝে পাগল ধরনের রিয়াকশন(Reaction) করতো। কোনো মেয়ে কি রাজি হবে বলেন।
Omi ছোটো অডিও ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন
Omi ছোটো অডিও ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন
আমিঃ আপুর বিয়ে কি ঠিক হইছে?
অমি তুষারঃ না। আপু এখন দুই বছর পর বিয়েতে নামবে। কারণ আমার বাবা নাই। আমাদের পরিবারটা আপুর চাকরি আর আমার পার্লারের আয়ে চলছে।
আমিঃ আপনার আপু কি বলছে?
অমি তুষারঃ কিন্তু উনার মতো পাগলকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আপুসহ আমাদের এক কথা। উনি যদি টাকা পায় উনার টাকা হিসেব করেই দিয়ে দেয়া হবে।
আমিঃ মনে হয় ছেলেটা আপনার আপুকে বেশি ভালবাসে।
অমি তুষারঃ কিন্তু উনার মতো পাগলকে কেউ বিয়ে দিবে না। কারণ সে যদি সত্যি ভালোবাসতো তাহলে এফবি তে মার্কেটিং করতো না একটা মেয়েকে নিয়ে।
আরও অনেক কথা...............
অমি তুষারঃ আমাদের জায়গা বিক্রি হবে ফেব্রুয়ারিতে।
আমিঃ ঝামেলা দেখি দুইজনেরই আছে আপু। আমার কাছ থেকে মেসেজ এর স্ক্রীনশট (যে মেসেজগুলো আমাকে ভাই দেখিয়েছে) গুলো দেখলে বুঝতে পারতেন।
অমি তুষারঃ আমি তো শ্বশুর বাড়িতে থাকি। জানি না। ভাল থেকো বিদায়।
বাকি কথোপকথন মেসেজ এর স্ক্রীনশট থেকে দেখে নিতে পারেন।
আমার উত্তরঃ
অমি তুষার আপু আমি যদি পাগল এবং সাইকো হয়ে থাকি তাহলে তোমার বড় আপু (Ayesha Khanom Mishu) তাহলে আমার থেকে বড় পাগল এবং সাইকো। কারণ সে আমার কাছ থেকে ঈদের ৬-৭ দিন আগেও ৬ হাজার টাকা ধার নিয়েছে (বিকাশের মাধ্যমে)। সেই মানুষটা ঈদ এর কয়েকদিন পরে মেসেজ দিয়ে সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়। এই কাজ কোনো ভালো মানুষ করে না। বাকি কারণ গুলো সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা পড়লে বুঝতে পারবেন।
অমি তুষার আমাকে তোমার কাছ থেকে ভালোবাসা বুঝতে হবে না। আর আমি গ্রামে থাকি না, ঢাকা শহরের কোনো এক জায়গায় থাকি। আমি কি তোমার আপুর সাথে পড়তাম? আমি যখন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ(Adamjee Cantonment College ) এ পড়তাম তখন তোমার আপু কুতকুত খেলতো কলেজ এ, আর আমি তোমার আপুর সাথে টাংকি মারতাম ( হা হা হা )। আর পরবর্তীতে জনন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (Jagannath University ) থেকে অনেক কস্টে( একটু মজা করলাম) ২ টা ডিগ্রি এবং আই আই ইউ সি ( IIUC)থেকে এম বি এ ( MBA) কোর্স সম্পূর্ণ করেছি। আর এর পরেও বোনাস হিসেবে আমার আরও ২ টা আইটি সম্পর্কিত দুইটা ছোট কোর্স করি। আর একটা বড় বিষয় হলো, আমার জানামতে তোমার আপু এম বি এ (MBA) কমপ্লিট করছে অনেকদিন আগে । আর আমার ধারণা তোমার আপু এল এল বি( LLB) কোর্সটাও সম্পূর্ণ করতে পারে নাই। মিথ্যা কথা কম বলো অমি । যদিও তোমার আপুর সব কথা আমার কাছে মিথ্যা মনে হয় এখন।
ওমি, তুমি বললে তোমার আপু ২ বছর পর বিয়ে করবে। খুব ভালো কথা। এই ২ বছর তোমার আপু ভালোবাসার ব্যবসাটা ঠিকমতো করে নিতে পারবে।
অমি তুষার আমাকে তোমার কাছ থেকে ভালোবাসা বুঝতে হবে না। আর আমি গ্রামে থাকি না, ঢাকা শহরের কোনো এক জায়গায় থাকি। আমি কি তোমার আপুর সাথে পড়তাম? আমি যখন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ(Adamjee Cantonment College ) এ পড়তাম তখন তোমার আপু কুতকুত খেলতো কলেজ এ, আর আমি তোমার আপুর সাথে টাংকি মারতাম ( হা হা হা )। আর পরবর্তীতে জনন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (Jagannath University ) থেকে অনেক কস্টে( একটু মজা করলাম) ২ টা ডিগ্রি এবং আই আই ইউ সি ( IIUC)থেকে এম বি এ ( MBA) কোর্স সম্পূর্ণ করেছি। আর এর পরেও বোনাস হিসেবে আমার আরও ২ টা আইটি সম্পর্কিত দুইটা ছোট কোর্স করি। আর একটা বড় বিষয় হলো, আমার জানামতে তোমার আপু এম বি এ (MBA) কমপ্লিট করছে অনেকদিন আগে । আর আমার ধারণা তোমার আপু এল এল বি( LLB) কোর্সটাও সম্পূর্ণ করতে পারে নাই। মিথ্যা কথা কম বলো অমি । যদিও তোমার আপুর সব কথা আমার কাছে মিথ্যা মনে হয় এখন।
ওমি, তুমি বললে তোমার আপু ২ বছর পর বিয়ে করবে। খুব ভালো কথা। এই ২ বছর তোমার আপু ভালোবাসার ব্যবসাটা ঠিকমতো করে নিতে পারবে।
বেশির ভাগ সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় দুই জনের কোনো একজনের অজুহাত বা লুইচ্চামির স্বভাব থাকলে। এই পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ এই কথাগুলো মেনে নিবে।.একটু চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন সম্পর্ক নষ্ট হয় টাকার জন্য নয়তো অন্য কোনো হিসেব থাকলে।
২) হৃদয়ঃ Shanto Hridoy আমার জানামতে তাদের ভাই-বোনের মধ্যে এই একজনই ভালো। একবার মাত্র দেখা হয়েছিলো। আমি মানুষ চিনতে ভুল করি কিনা জানি না। যেখানে তার বড় বোনকেই চিনতে পারলাম না এবং তার বড় বোনের কাজকর্ম আমার কাছে ভালো লাগে নি।যাই হোক এটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত।
৩) মিমি খানমঃ ইনি খুব চালাক প্রকৃতির মেয়ে। তার বড় বোনের সব অপকর্মের সঙ্গি ইনি। সে নিজেও সম্পর্ক গড়ে আর ভাঙ্গে (ধারণা)। যা তার আপুর মতো। তার নকল ফেসবুক আইডি দেখলেই বুঝতে পারবেন। নিজের বাবা-মায়ের দেয়া আসল নাম ফেসবুক এ ব্যাবহার করতে লজ্জা লাগে, নতুন করে আকিকা দাও। তাছাড়া কারা ফেক নাম ব্যাবহার করে? পাঠক আপনারাই ভাবুন।
আর একটি মজার বিষয় হলো তার সাথে আমার কথা হওয়ার পর ১ দিনেই ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট হয় এবং মোবাইল সিম কার্ডও নষ্ট হয়ে যায়। অনেক বড় মাপের মিথ্যুক।
পুনশ্চঃ
কোনো ছেলের সাথে সম্পর্ক করার পর সেই ছেলের সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে না পারার কারণ যদি হয় মা, মামা-মামি, তাহলে বুঝবেন এগুলো অভিনয় ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ যদি তাই হবে তাহলে তার উচিত ছিল তাদের আগেই জানিয়ে সম্পর্ক করা। কারণ সম্পর্ক আপনার কাছে খেলনা হতে পারে অন্যের কাছে নয়। সব চাইতে ভালো হয় মাকে বলে দাও, মা আমাদের কাঠের চশমা কিনে দাও। ভালোবাসার নামে প্রতারণা বন্ধ করুন।
আমি চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করার সুবাদে আয়েশা খানম মিশুর( Ayesha Khanom Mishu) সাথে পরিচয় হয়। আর সামনাসামনি দেখা হয় ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে কুমিল্লার কান্দিরপার Euro King। তার সাত্থে ছিল তার ছোট বোন মিমি খানম( Mimi Khanom ) (যিনি বর্তমানে নয়ন তারা নামে ফেসবুক এ ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছে)। তার গল্প আরেকদিন হবে। যদি আমি কানাডা পৌছার পর সময় পাই।
যাই হোক ম্যাডামAyesha Khanom Himi (আয়েশা খানম), অনেক কিছুই বলেন । আমারও খুব ভাল লাগে তার কথা। সেই থেকেই শুরু আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। তাকে আমি ভালবেসেছিলাম তার চেহারা দেখে নয়, তার সততা এবং জীবণ যুদ্ধের বলা গল্প শুনে। তাছাড়া তার চেহারা দেখতে অনেকটা বুড়ি মানুষের মতো। এইটা আমার কাছে মূল বিষয় ছিলো না। কিন্তু আমি মানুষটাকে চিনতে ভুল করি, যা এখন আমি বুঝতে পারছি। আমার প্রথমদিকে চিনতে ভুল হয় কারণ আমি সহজ সরল মানুষ।
সম্পর্কের শুরুতে আয়েশা শর্ত দেয়-
১) তার আম্মা রাজি না হলে বিয়ে করবে না। তবে আম্মাকে রাজি করানোর জন্য সে শতভাগ চেষ্টা করবে। (এখানেই সে ফাকি টা রেখে দেয়)
২) আমদের সম্পর্কের কথা কাউকে বলা যাবে না। (এখানেই সে ফাকি টা রেখে দেয়)
৩) তার ফেসবুক প্রোফাইল এর কোনও পোস্ট এ লাইক বা কমেন্ট করা যাবে না।
4) আমি যদি তোমায় বিয়ে নাও করি তবে তোমার লাইফ গুছিয়ে দিয়ে যাবো (এখানেই সে ফাকি টা রেখে দেয়) । হাসি পায় যখন এরকম আরও অনেক কথা মনে পরে।
সে এই শর্তগুলো আমাকে হাতিরঝিল, ঢাকায় বলেছিল। উল্লেখ্য থাকে যে উনি আমার সাথে দেখা করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। আর সি এন জি তে কি করেছিলো তা আর বললাম না ? আমি কোনো লেখক বা কবি নই। তাই সবকিছু গুছিয়ে লেখতে পারি না।
ম্যাডাম খুব সুন্দর ভালবাসার অভিনয় করতে পারেন। আমার তা বুঝতে অনেক সময় লেগে গেলো। সম্পর্কের কিছুদিন পর তার অ্যাকাউন্ট এ টাকা রাখলাম ১ লাখ (জানুয়ারী ২০১৮) তার কথামতো। আমার হাতে টাকা থাকলে খরচ হয়ে যায় আর ম্যাডামও বুঝালেন ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমানো দরকার। তাই আমিও আর অমত করি নি। এইভাবে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু টাকা আমি তার কাছে দেই। সর্বমোট ১৯৫০০০ (এক লাখ পঁচানব্বই হাজার) টাকা। মজার বিষয় হলো প্রথমে টাকা নিল জমানোর কথা বলে। কিন্তু কিছুদিন পরে বললেন সেই টাকা দিয়ে বিজনেস করবে। আর আমাকে লাভ ও দিবে। আমি বললাম লাভ লাগবে না আমার। আমি সরল মনে সব বিশ্বাস করলাম। এখন এইসব কথা ভাবলে হাসি পায়। আমি এতটাই গাধা ছিলাম! এভাবেই ধোঁকার ঘোরে চলে গেলো দুইটি বছর। মানুষ কিভাবে এমন করে?
সবচাইতে বড় কথা হলো, তাদের ওয়ারিশ জমির বিক্রয়ের ব্যাপারে। যে জমির কাগজ-পত্রে অনেক ভেজাল অনেক দিন ধরেই চলতেছে। আমার ধারণা সেই জমি তারা ২০২১ সালেও বিক্রয় করতে পারবে না। যাই হোক, জমি বিক্রয়ের ব্যাপারে তাদের বাসার মানুষের কাছে তিন ধরনের ইনফরমেশন পাই। তা নিচে দেয়া হলো-
১) বুড়ি মা বলে ডিসেম্বার ২০১৮.
২) আয়েশা খানম মিশু বলে অক্টোবর ২০১৮.
৩) অমি তুষার বলে ফেব’ ২০১৯। যা অমি তুষার এর উপরের মেসেজ এর স্ক্রীন শট দেখলেই বুঝতে পারবেন।
এই হলো তাদের বাপের জমি বিক্রয়ের বাসার মানুষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য। এই টাকা পাওয়ার পর তারা আমার টাকা পরিশোধ করবে বলে জানায়। কি যে বলবো? বুঝি না।
আমি তোমার কাছে যে টাকা পাই, সেই টাকা দিতে হবে না। শেষ বিচারের দিন দিলেই হবে। কারণ আল্লাহ্ আমাকে যা দিয়েছেন তার জন্য তার নিকট অনেক অনেক শুকরিয়া জানাই। সামনে আরও বেশি ভালো কিছু পাবো ইনশাল্লাহ।
জানুয়ারী ২০১৯ থেকে আমি লক্ষ্য করি মিশু আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিচ্ছে। আমার জন্য তার সময়ই হচ্ছে না। সে আমাকে বলে যে, সে সময় পায় না যোগাযোগ করার। আমি কল দিলে রিসিভ করে না বা কল ব্যাক ও করে না। যদিও কখনও করে তখন অনেক কম সময় কথা বলে (১/২ মিনিট)। তখন আমি ধারণা করি উনি অন্য কোনো পরিকল্পনা করছে। এবং পরিশেষে বুঝতে পারি এইসবই ছিলো টাকার জন্য অভিনয়। তার এইসব কর্মকাণ্ড মোগল্টুলী এলাকার মানুষ জানে না। কারণ এইসব প্রেম প্রেম খেলা উনি তার এলাকার বাইরে করেন যা তার মেঝো বোন এবং ফ্যামিলির কেউ জানে না। একজন জানেন তার সব অপকর্মের শাক্ষী ছোটো বোন (মিমি খানম) Mimi Khanom
যাকে আমি ঈদের ৬-৭ দিন আগে ব্যাবসা করার জন্য ৬০০০ টাকা বিকাশ করে দেই, সে আবার রোজার ঈদ কিছুদিন আগে ফেসবুক এ ছবি আপলোড দেয়, আমার দেয়া উপহার গলার হাড় পরে।
ঘটনা শুরু হয় ঈদের ঈদ-উল ফিতরের কিছু দিন পর থেকেই। আমাকে একটি মেসেজ দেয় মোবাইল এ। জানায় সে তার মাকে আমার বিষয়ে বলেছে, অনেক কান্নাকাটি করেছে, তার মায়ের পা পর্যন্ত ধরেছে কিন্তু তার মা রাজি হয় নি। তাই সে এ সম্পর্ক রাখবে না।
আমি অনেক্ষন চিন্তা করলাম। কল দিলাম, কিন্তু উনি আর কল ধরলেন না। আমি বুঝতে পারলাম সে সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য তার দেয়া প্রথম শর্ত টা প্রয়োগ করেছে। কারণ সে যদি তার মাকে আমার কথা বলবেই তাহলে আমাকে জানালো না কেন? আমার সাথে আগে আলোচনা করলো না কেন? আর কখন সে এইভাবে তার মায়ের কাছে কান্নাকাটি করলো, পা ধরলো আমি জানতেই পারলাম না । স্বাভাবিক ভাবে যদি চিন্তা করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন। কেউ একজন কাউকে রিপ্রেজেন্ট করতে গেলে অবশ্যই তার সাথে আগে পরামর্শ করবে। আর যখন রাজি হবে না তখনও পরামর্শ করবে পরবর্তী স্টেপ কি নেয়া যায়। ঠিক কিনা ভাবুন। এত কিছু উনি করলেন আমাকে না জানিয়ে। এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না। আর ভালোবাসা কি কাগজের ঠোঙা যে সামান্য একটা মেসেজ দিয়ে নাই করে দেয়া যায়? তোমাদের মতো চিটার মেয়েদের পক্ষে সব সম্ভব
আর এটা যে সে মিথ্যা বলেছে তার আর একটা প্রমান দেই। ওই সময় তার মা অনেক অসুস্থ ছিলো। তাকে খাইয়ে দেয়া লাগতো। তার মামীও অসুস্থ (আই সি ইউ তে ভর্তি) এবং তার মামা লিভার এর রোগে আক্রান্ত (লিভার ৮০ পারসেন্ট ক্ষতিগ্রস্থ) । ফেমিলির এই সময় কেউ কি নিজের বিয়ের কথা বলে? তাছাড়া তার মেঝো বোন অমি তার বড় বোন সম্পর্কে কি বললো, তা উপরের অমি তুষার এর পার্ট এ বোল্ড করা পার্ট টা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
কোনো মানুষকে বাঁশ দেয়ার জন্য সহজ উপায় হলো ফ্যামিলির অজুহাত দেয়া।
তার সাথে আমার শেষ দেখা করতে হইছে, অনেক কিছু করে। ওই কাজটি না করলে, কোনোদিনই আমার সাথে সে দেখা করতো না। যা আর বিস্তারিত এখানে বললাম না। এই বিষয়ে আমি ধন্যবাদ জানাবো তার ছোট বোনকে। কারণ সে বুঝতে পেরেছিল আমার মেজাজ খুব খারাপ হয়েছিলো।
বুড়ি মাকে (তার মাকে আমি ভালোবেসে বুড়ি মা ডাকি) পেলে কিছু কথা বলতাম-
১) কোনদিক দিয়ে আমার যোগ্যতা কম ছিলো?
২) যৌবন কালে আপনার ভাইয়েরা আপনার সাথে যা করেছিলো আপনি কেনো আপনার মেয়ের সাথে তাই করতেছেন। উল্লেখ্য যে উনি যৌবন কালে একজনকে পছন্দ করতেন। তার ভাইয়েরা তার সাথে বিয়ে দেন নি। তাহলে তো উনার এই বেদোনা আরও বেশি বোঝার কথা। তথ্যটি মাডাম এর কাছ থেকে পাওয়া।
আমার ম্যাডাম তার ফেসবুক আইডি নাম পরিবর্তন এবং ফেসবুক প্রোফাইল লক করেছে। কেউ যদি তার (আয়েশা খানম) ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে থাকেন, তাহলে তার ফেসবুক প্রোফাইল এ গিয়ে দেখেন, সব পোস্ট উনি হাইড করে রেখেছেন। মানুষ কখন এইরকম কাজ করে? তাছাড়া আমি উল্টাপাল্টা কথা বলার জন্য আমাকে ব্লক করে দিয়েছে (মেজাজ খারাপ থাকলে যা হয়)। কেউ নীতি বর্জিত কাজ করলে আমি তাকে ছাড় দেই না।
সমাজের মুখোশ পরা ভালো মেয়ে মানুষগুলো ভালোবাসার অভিনয় করে ছেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে, তাদের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কখনও চিন্তা করি নাই ম্যাডাম এইভাবে আমার সাথে প্রতারনা করবে। আমাকে জানালো তার মা রাজি হয় নি। সে কখন তার মায়ের সাথে কথা বলল, আমাকে সে কিছুই জানায় নি। বুঝলাম এটা তার চালাকি। সে মহা স্বার্থপর, টাকা তার প্রধান বিষয়, সম্পর্ক নয়। ভালোবাসা তার কাছে বাণিজ্য ছাড়া আর কিছু নয়। আবার তার বাসার পরিস্থিতি নাকি অনেক খারাপ। আরও অনেক কিছুই আমাকে মেসেজ দিয়ে জানালো। সবকিছুই তার বাহানা।
আয়েশা খানম মিশু/আনিরাজ জামান আয়েশার ভবিষ্যৎ জামাইয়ের জন্য অগ্রিম কিছু তথ্যঃ
আপনার হবু বউ অনেক বড় মাপের খেলোয়াড় । আমার জানামতে উনি এখন পর্যন্ত আমিসহ দুই জনের সাথে প্রেম করেছে (তবে আমার ধারণা সে আরও অনেক বেশি প্রেম করেছে)।
তুমি তোমার হবু জামাইকে (চাচা মিয়াঁ) তোমার দেনা এবং তোমার প্রেমগুলো সম্পর্কে জানাইও। যদি পারো তাহলে তোমার মামাকে দিয়ে ম্যারিজ সিভি লিখিয়ে নিও। তা না হলে আবার একটা ছেলেকে ঠকানো হবে।
তাছাড়া তোমার মামাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ভাগনির বিয়ের জন্য নাকি পাত্র দেখছেন। মামা বলেছিলেন 'বাবা আমার মেয়ে গুলোর বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।' তারপর বললো তোমার মোবাইল নাম্বার আর বাসার ঠিকানা দাও।
আমাদের সমাজে তোমাদের মতো চিটার মেয়ে গুলো ভালো এবং পয়সাওয়ালা চাচা মিয়া জামাই পায়। কারণ একটাই এই দুনিয়াটা শুধু তোমাদের জন্য। আমাদের এলাকায় একটা মেয়ে ছিলো, সে তার এলাকার বাইরে ৫-৬ টা প্রেম প্রেম খেলা খেলেছিলো। পরে অবশ্য তার পয়সাওয়ালা জামাই এর সাথে বিয়ে হয়েছিলো।
প্রথম প্রেম সম্পর্কে নিম্মোক্ত স্ক্রীনশট (মেসেজ এর) গুলো দেখলেই বুঝবেন।
আর আমি আরেক গাধা। তাকে আমি অনেক ভালবাসতাম এবং সবকিছু দিয়েই ভালোবাসার চেষ্টা করতাম। কারণ আমার ভালোবাসায় তার মতো টাকার এবং অন্যকোনো হিসাব ছিলো না। সে যে নাটক করলো তার মেসেজ এর স্ক্রীন শটগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। যা আমি যত্ন করে সেভ করে রেখেছি।
বাহিরে যাবার আগে তার কিছু ছবি হাতে পেয়েছিলাম তা আর দিলাম না।
ভবিষ্যৎ জামাই এর জন্য সতর্ক বানী হল, একটু হিসেব-নিকেশ করে বিয়ে করবেন। কারণ তার ধন-সম্পদের প্রতি আকর্ষণ অনেক বেশি।
যে মানুষটা তার জন্য ২ বছর অপেক্ষা করলো তার সাথে শুধু মেসেজ দিয়েই সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে, তাহলে ভাবুন সে আর কি কি করতে পারবে ??? তার যদি সৎ ইচ্ছা থাকতো তাহলে আমাকে বলতো তার মায়ের সাথে দেখা করতে বা তার মায়ের সাথে কথা বলার আগেই আমার সাথে পরামর্শ করতো কিভাবে আমাকে তার মায়ের কাছে তুলে ধরবে? আসলে সে আমার বিষয়ে তার মায়ের সাথে কথা বলেই নি। এটা তার একান্তই নিজের সিধান্ত। সুতরাং সাধু সাবধান!
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি নিজের সম্পর্কে কি আর বলবো। আমি ভালো মানুষ ছিলাম তবে এখন খারাপ হয়ে গেছি। যা আমার ম্যাডাম শেষ দেখার দিন আমায় বলেছিলো। সেইদিন শুধু আমি তোমার কথাগুলো শুনেছিলাম কিন্তু পারলে সব কিছুর উত্তর দিতে পারতাম. Tachara ami manoshink obosta valo chilo na karon একজন ভণ্ড প্রেমিকার প্রতারণার শিকার হয়ে। আজ আয়েশা খানম বলে ভালবাসলে বিয়ে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তাহলে ভালবাসার লক্ষ্য টা কি? আমার প্রশ্ন।
সে বলে আসো আমরা সুন্দরভাবে বন্ধুত্ব রচনা করি। কি মজার বিষয় ? যে ছিলো কাল মনের মানুষ আর আজ সে আমার বন্ধু। হায়রে স্বার্থপর মেয়ে মানুষ। আমার মনে পরে। তুমি আমাকে গাধা ডাকতে। আজ সেই নামের সার্থকতা পূরণ হলো।
সবচাইতে তোমার একটা কথা আমার খুব ভালো লেগেছিলো। তোমাকে নাকি অনেকেই হেল্প করেছে কিন্তু আমার মতো কেউ করে নাই। আমার কথা হলো, তোমাকে কি সবাই ফ্রিতে হেল্প করে নাকি? সম্পূর্ন রেকর্ডটা দিতে পারলে পাঠকেরা শুনতে পারতো
ছোটো অডিও ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন
ছোটো অডিও ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন
আমি মিডল ক্লাস ফ্যামিলির মানুষ। দিনে জব করি আর রাতে অনলাইনে কাজ করি। এখন মাঝে মাঝে আমার জানতে ইচ্ছে করে মেয়েদের কাছ থেকে; তোমাদের কত টাকা চাই? যেখানে সম্পর্কের কোন দাম থাকে না।
আমার 36 বছরের এই জিবনে মানুষ আমাকে ঠকিয়েছে অনেক। কিন্তু সবচেয়ে বড় ঠকটা টা পেলাম তোমার কাছ থেকে। আমার লাইফটা নষ্ট করার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভয়েস এনালাইসিস করেছেন সামরিক বাহিনীর এক গোয়েন্দা ভাই ((মিথ্যা কথা নয়))
আমাকে গতকাল এই গ্রুপের একটি ভাই তার লাভ স্টোরি শুনালো, শুধু যে শুনালো তাই না, একেবারে প্রমাণ সহ শুনালো। আমি তার এক্সের পিক ও তার সাথে শেষ কথোপকথন এর রেকর্ড গুলোও শুনলাম।
অডিও ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন
অডিও ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন
ভাইটি তার এক্সকে এখনো অনেক ভালোবাসেন, মেয়েটি পরিবারের বড় মেয়ে, বাবা নেই, বয়স 34 + আর ভাইটি জব করছে ওনার বয়স 36। সত্যি বলতে মেয়েটাকে দেখে আমারো তেমন ভালো লাগেনি, কিন্তু কথা হলো এই মেয়েটাই ছেলেটির সাথে দুবছর রিলেশনে ছিলো, যখন তখন ভাইটি তার এক্সের বিপদে আপদে এগিয়ে আসতো, মাত্র ---- হাজার টাকা বেতনের ভাইটি তার সংসার এর সব বহন করেও এক্সকে বিজনেসের জন্য পর্যন্ত টাকা দিয়েছে, এমনকি তার এক্স যখনই কোনো আর্থিক সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যার কথা বলতো ভাইটি তাকে সব রকমের হেল্প করতো। কিন্তু গেলো ঈদের পর থেকে ভাইটি অবহেলিত, আমি রেকর্ড গুলো শুনেই খুব অবাক হয়েছি, সেই মেয়েটির কথা গুলো ছিলো এমন যে- "আমি তোমার সাথে 2বছর রিলেশন রেখেছি এটাই তোমার ভাগ্য, তোমার মতো ছেলের সাথে কোনো মেয়েই রিলেশন রাখতোনা, তোমার সাথে সংসার করা সম্ভব নয়, আমি তোমার থেকে এই পর্যন্ত যে 2 লক্ষ টাকা নিয়েছি তা আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিবো, আমার যদি জীবনে বিয়েও না হয় তাও তোমাকে বিয়ে করবোনা, আমার মতো মেয়েকে পাওয়ার যোগ্যতাই নেই তোমার, হেল্প করে খুব বড় কিছু করে ফেলোনি, গার্লফ্রেন্ডকে এমন টুকিটাকি হেল্প সবাই ই করে"
আমি কথাগুলো শুনে রিতীমত শকড হয়েছি বলতে পারেন, যে মেয়ের 34+ বয়স, না আছে তেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, না আছে রুপ, সেই মেয়ে এভাবে কি করে বলতে পারে.? আমি ওনার পার্সোনাল যোগ্যতা নিয়ে কিছু বলতে চাইনা, বলতে চাই একটা মেয়ে কি করে বলতে পারে বয়ফ্রেন্ডের থেকে 2লক্ষাধিক টাকা নেয়ার পরও যে "গার্লফ্রেন্ড কে এমন টুকিটাকি হেল্প নাকি সবাই ই করে" ওনার কি সামান্যতম লজ্জাও নেই.?
আর পরে আমি ভাইটিকে গাধা বলে সম্বোধন করেছি,
যদিও তিনি আমার বয়সে অনেক অনেক বড়, কিন্তু ওনাকে এইটা ছাড়া অন্য কোনো টাইটেল আমি দিতে পারিনি, আপনারা কেউ কি আর কোনো টাইটেল ওনাকে দিতে পারেন.? আমার মাথায় আসছেনা আর।
ঘটনা-১
অনেকে ফ্যামিলির অযুহাতে ভালোবাসার মানুষটার হাত ছেড়ে দেয়। তাহলে ভালোবাসার সময় কেনো ফ্যামিলির কথা ভাবেন নি!
ফ্যামিলির কথা ভেবে যার হাত টা মাঝ পথে এসে ছেড়ে দিয়েছেন তার জীবনটা নষ্ট করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ফ্যামিলির বিরুদ্ধে গিয়েও যদি তার হাত টা ছেড়ে না দিতেন তাহলে কি মায়ের জীবন নষ্ট হয়ে যেত?
কখনোই হোত না। কারন মা শুধু সন্তানের ভালোটাই চায়। অনেক রাগের পরেও যখন দেখবে তার সন্তান সে মানুষটাকে নিয়ে ভালোই আছে তারা এক সময় সহজ হয়ে যায় মেনে নেয় সব কিছু।
কিন্তু যে মানুষটা আপনাকে সুখে রাখতে পারতো সে মানুষটাকে ঠকিয়ে শুধু ফ্যামিলির খুশি টাই দেখবেন সে মানুষটার আহাজারি কি ফুরিয়ে যাবে?
যাবেনা। অভিশাপ হয়ে তা আপনার জীবনে ফিরে আসবে।
বাবা মায়ের অবাধ্য হতে বলিনা কিন্তু তারা তো আপনার ভালোটাই চায়। আর আপনার ভালোটা আপনি ছাড়া কে বেশি ভালো জানে!!
ঘটনা-২
আমি আসলে জানি না এখানে পোষ্ট টা দেয়া ঠিক হচ্ছে কিনা তবুও দিচ্ছি কারন অনেকের পোষ্ট দেখি মেয়ের পরিবার মানবে না এই যুক্তিতে ব্রেকাপ হয়ে যায়। টু বি ভেরি অনেস্ট এইটা একটা বালছাল মার্কা যুক্তি। মেয়ে হোক বা ছেলের পরিবার ঠিক ই মানবে। না মেনে যাবে কই?? স্পেশালি মেয়ের পরিবার মানতে বাধ্য যদি মেয়ে ঠিক থাকে।
মেয়ে যদি গো ধরে বসে থাকে যে তাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না। বাপ মা সুইসাইডের ভয় দেখালে উলটা মেয়ে বলবে আমিই মরে যাই তোমরা সুখে থাকো অথবা বাবা মায়ের পা ধরে দিনের পর দিন রাতের পর রাত কান্না কর্তে থাকে, নাওয়া খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে বাপ মায়ের কাছে একটা জিনিস ই ভিক্ষা চায় তাহলে যে কোন মেয়ের পরিবার মানতে বাধ্য। নাহয় একটু মারলো কাটলো তাতে কি?? চুপ করে সহ্য করলেই হলো। না মেনে কি করবে? চোখের সামনে আই বুড়ি বানাবে নাকি মেয়েকে??
কথা হচ্ছে আপনি যাকে ভালোবাসেন সে আপনার জন্য এইটুক সাফার করতে রাজী কিনা!! যারা এইটুক করে বা করতে পারে তাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণতা পায়। অনেক আছে যারা পরিবার কে মানিয়ে বিয়ে করেছে তাদের পরিবার কি এলিয়েন ছিল??
আমার নিজের কথাই বলি আমি যাকে ভালোবাসি সে আজ ১২ বছর ধরে হুইলচেয়ারে। এমন ছেলের কাছে কোন পরিবার ই মেয়ে দিতে চাবে না। কিন্তু আমার পরিবার কে আমি মানিয়েছি (আব্বু এখনো মানেন নি) বাকী আম্মু ভাই বোন মামা নানা নানু সবাই জানে তার ব্যাপারে। আমার পরিবার কে আমি কিভাবে মানিয়েছি সেটানা হয় আরেকদিন বলবো।
বয়স এখন ২৮ চলে। লাগলে ৩৮ হয়ে যাক তারপরেও কোন তাকে ছেড়ে কোন বিসিএস ক্যাডারের গলায় ঝুলবো না। ভালোবাসার মানুষটার সাথে চারটা ডাল ভাত খাবো তাতেই আমার সুখ।
Farhana Yesmin Bristy
শেষের দিকে লেখা
আমি তাকে ( Ayesha Khanom Mishu) ভালবাসলেও আমার নীতিতে আমি অটল থাকবো। আমার নীতি আমার মতই সরল। আজকে যখন এই পোস্ট পাবলিশ হবে তখন আমি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা তে।
ভবিষ্যতে আর কোনো ছেলের মন, স্বপ্ন, টাকা নিয়ে খেলো না। তোমার মতো মেয়েদের জীবন কখনও সুখী হবার কথা না। পারলে টাকার জন্য চাচার বয়সী কোনো লোককে বিয়ে কর। সাথে যদি তার বাবার সম্পদ বোনাস হিসেবে পাও। সেটা তোমার জন্য আরও ভালো হবে।
আল্লাহ্ যা করেছে আমার ভালোর জন্যই করেছে।তোমার মতো কাল নাগিন এবং বুড়িকে বিয়ে করা লাগলো না। সত্যি কথা খুব বাঁচা বেঁচে গেছি। বিয়ের পর যদি তোমার এই রূপ দেখতে পেতাম, তাহলে আমি শেষ হয়ে যেতাম।
অনেক কিছুই বলার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু সবকিছুই লিখে শেষ করা যায় না। আমিও মানুষ, আর তাই আমিও পারলাম না শেষ করতে। উপরোক্ত তথ্য বিবরণীগুলো সবই সত্য, ভুলক্রমে কোনো অসত্য লিখে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। কোনো মানুষ যখন ঠকে, তখন তার ভালো মানুষ রূপটা পরিবর্তন হয়ে যায় অনেক সময়ের জন্য। কারণ আমার ভালোবাসা তো মিথ্যে ছিলো না। আমি অন্য ছেলেদের মতো নই, যে নিরবে- নিভৃতে চলে যাবো। বেঁচে থাকুক পৃথিবীর সব সত্য ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষগুলো, যেখানে কোনো অজুহাত বা মিথ্যের অভিনয় থাকে না।
আবেগ অনুভূতিহীন মানুষগুলোই আজকাল ভালো থাকে কারণ তাদের না আছে কিছু পাওয়ার আশা আর না আছে কাউকে হারানোর ভয়। মরে তো শুধু আবেগিরা কারণ তারা আবেগ লুকাতে জানে না, নিজের মাঝে রাখতে জানে না তাই প্রকাশিত আবেগ আর অনুভূতিগুলো তাদেরকে একবার নয় বারবার মারে ধুকে ধুকে মারে।
বি: দ্র: কুমিল্লার ২ ছোটো ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমার মতো ছোটো মানুষকে ইনফরমেশন দিয়ে হেল্প করার জন্য। তোমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করার জন্য। আমাকে মাফ করে দিও। যিনি আমাকে বাংলায় লিখে হেল্প করেছেন, তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
"আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে;
বলেছিলো: ‘এ নদীর জল
তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল
সব ক্লান্তি রক্তের থেকে
স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি;
Blogger Comment
Facebook Comment