নতুন পদ্ধতির মূল্য সূচক চালুর দিকে এসইসি
সোমবার এসইসিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় নতুন পদ্ধতির সূচক চালুর সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সভায় আন্তর্জাতিক মানের ইনডেক্স প্রবর্তনের ওপর আলোচনা হয় এবং ফ্রি ফ্লোটের (লেনদেনযোগ্য শেয়ার) ভিত্তিতে ইনডেক্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
ফ্রি ফ্লোটের ব্যাখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওসমান ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ফ্রি ফ্লোটের মানে হচ্ছে ইনভেস্টেবল অ্যান্ড ট্রেডেবল শেয়ার, যা একটি কোম্পানির সম্পূর্ণ শেয়ার থেকে গভর্মেন্ট হোল্ডিং, স্পন্সর ডিরেক্টর হোল্ডিং এবং ইনস্টিটিউশনাল হোল্ডিং যে টুকু লকইন করা আছে, তা বাদ দিলে পাওয়া যায়।”
ফ্রি ফ্লোটের সংজ্ঞা নির্ধারণের জন্য এসইসি সদস্য আরিফ খানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ফ্রি ফ্লোটের ভিত্তিতে সূচক পরিমাপ বিনিয়োগবান্ধব এবং সঠিক হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক ওসমান।
তবে তার পরামর্শ, নতুনের সঙ্গে পুরনো সূচকের সমন্বয় করা হলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে। তাই গত তিন-চার বছরকে ভিত্তি বছর ধরে নতুন সূচক চালু করা উচিত।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে বড় বাজার মূলধনের কোম্পানির শেয়ারের দাম একটু বাড়লে বা কমলে সূচকে বেশ পরিবর্তন ঘটে।
“যেমন গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম যদি এক শতাংশ বাড়ে, সূচক প্রায় এক শতাংশ বেড়ে যায়। ফ্রি ফ্লোট সিস্টেমে এলে বড় মূলধনের কোম্পানিগুলোর দাম বাজারকে অনেক বেশি প্রভাবিত করতে পারবে না, সবগুলো কোম্পানির শেয়ারের দামের পরিবর্তন সূচকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে,” বলেন তিনি।
bdnews24.com
এক বছরে ১৫ কোম্পানির তালিকাভূক্তি
শেয়ারবাজারে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা নিন্মমূখী প্রবণতার মধ্যও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) নতুন করে ২১টি কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভূক্তির জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আর এসব কোম্পানির মধ্য ১৫টি কোম্পানি তালিকাভূক্ত হয়ে শেয়ারবাজারে লেনদেনে সক্রিয় হয়েছে। এদের মধ্যে তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড তাদের সাবশক্রিপশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও এখনও তালিকাভূক্ত হতে পারেনি। এছাড়া আরো তিন কোম্পানি রয়েছে যাদের প্রাথমিক ও গণপ্রস্তাব (আইপও) শেয়ারের সাবসক্রিপশন ডেট আগামী বছরে জানুয়ারী ও মার্চে শুরু হবে।
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত হলো শেয়ারের যোগানের সাথে চাহিদার সামঞ্জস্য বজায় রাখা। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে থেকে বাজারে ব্যাপক ধসের কারণ ছিল চাহিদা অনুযায়ী নতুন কোম্পানিগুলোকে বাজারে তালিকাভূক্ত করতে না পারা। যা শেয়ারবাজার ধসে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্তাকর্তারাদের উদ্যোগী ভূমিকায় চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বরে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) কর্তৃক ১৫টি কোম্পানি নতুন করে শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত সম্পন্ন করে।
গত বছর ৮ ডিসেম্বরে যখন বাজার পতন শুরু হয়েছিল তখন বাজার সংশ্লিষ্টরা শেয়ারের অতি মূল্যায়িত হয়ে পড়াকে দায়ী করেছিল। পাশাপাশি বছরের শুরুর দিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা সরকারী শেয়ার অফলোড করতে সরকারকে সজাগ করে দিয়েছিল। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারী ২৬ কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সরকারের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তবে সরকারের ব্যাপক চাপের মুখে দুই একটা কোম্পানি কিছু শেয়ার ছেড়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। এরপরও এসকল কোম্পানির শেয়ার বাজারে আজও অফলোড হবে কিনা তা নিয়ে বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে সংশয়।
নতুন তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানির মোট অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে তারা আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে ৬৬৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে ৫৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং অবশিষ্ট অর্থ দিয়েছে কোম্পানি স্পন্সররা।
নতুন কোম্পানিগুলোর মধ্যে দেশবন্ধু পলিমার ৪০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ১৬ কোটি টাকা এবং স্পন্সারদের কাছ থেকে তুলেছে ২৪ কোটি টাক। সালভো কেমিক্যাল ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ২৬ কোটি ও স্পন্সারদের কাছ থেকে ১৪ কোটি এবং প্লেসমেন্ট থেকে ৫ কোটি সংগ্রহ করেছে। বরকাতুল্লাহ ইলেক্ট্রো ডায়নামিক ৮৬ কোটি টাকার মধ্যে ২০ কোটি আইপিও থেকে, স্পন্সারদের কাছ থেকে ৪১ কোটি এবং প্লেসমেন্টে থেকে ২৫ কোটি সংগ্রহ করেছে। এমআই সিমেন্ট ফাক্টরী ১০০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৩০ কোটি এবং স্পন্সারদের থেকে ৭০ কোটি টাকা। এমজেএল বাংলাদেশ ১৮০ কোটি ৩২ লাখ টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৪০ কোটি এবং স্পন্সারদের থেকে ১৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন পূন: আইপিও থেকে ৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৬২ কোটি ৭৪ লাখ ও স্পন্সারদের থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রেডাক্টস ৪০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে ১৬ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার এবং স্পন্সারদের ২৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে। জাহিন টেক্্রটাইল ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ২০ কোটি এবং স্পন্সারদের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এআইবিএল ফাষ্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। তারা আইপিও থেকে তুলেছে ৫০ কোটি, স্পন্সারদের কাছ থেকে ১০ কোটি এবং প্লেসমেন্টে থেকে তুলেছে ৪০ কোটি টাকা। এমবিএল ফাষ্ট মিউচ্যুয়াল ১০০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে ৫০ কোটি,স্পন্সারদের কাছ থেকে ১০ কোটি ও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা তুলেছে। ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৭৫ কোটি, স্পন্সারদের ২৫ কোটি এবং প্লেসমেন্টে ৫০ কোটি টাকা তুলেছে। সাউথইষ্ট ব্যাংক ফাষ্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১০০ কোটির মধ্যে আইপিও থেকে ৫০ কোটি, স্পন্সারদের ২৫ কোটি ও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা তুলেছে। রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৫৫ কোটির মধ্যে আইপিও থেকে ২৭ কোটি ৫০ লাখ, স্পন্সাদের থেকে ১১ কোটি এবং প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা তুলেছে। এলআরবি গ্লোবাল (বিডি) মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ৩০০ কোটির মধ্যে আইপিও থেকে ১৫০ কোটি, স্পন্সার ৫০ কোটি এবং প্লেসমেন্ট থেকে তুলেছে ১০০ কোটি টাকা । এছাড়া এ বছরে একটি সাব অর্ডিনেটেড ২৫ শতাংশ কনর্ভাটেবল বন্ডস অব ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৩০ কোটি এবং স্পন্সারদের থেকে ২৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে ১৮টি কোম্পানি বাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ১০৯৫৫ কোটি এবং প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৮২৫ কোটি টাকা তুলেছে বলে ডিএসইর এক কর্মকর্তা বরাতে জানা গেছে। একই ভাবে ২০০৯ সালেও ১৮টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে ৯২৮২ কোটি ও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৩৬৮ কোটি টাকা বাজার থেকে উত্তোলন করে।
Source:sharenews24.com
সোমবার এসইসিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় নতুন পদ্ধতির সূচক চালুর সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সভায় আন্তর্জাতিক মানের ইনডেক্স প্রবর্তনের ওপর আলোচনা হয় এবং ফ্রি ফ্লোটের (লেনদেনযোগ্য শেয়ার) ভিত্তিতে ইনডেক্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
ফ্রি ফ্লোটের ব্যাখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওসমান ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ফ্রি ফ্লোটের মানে হচ্ছে ইনভেস্টেবল অ্যান্ড ট্রেডেবল শেয়ার, যা একটি কোম্পানির সম্পূর্ণ শেয়ার থেকে গভর্মেন্ট হোল্ডিং, স্পন্সর ডিরেক্টর হোল্ডিং এবং ইনস্টিটিউশনাল হোল্ডিং যে টুকু লকইন করা আছে, তা বাদ দিলে পাওয়া যায়।”
ফ্রি ফ্লোটের সংজ্ঞা নির্ধারণের জন্য এসইসি সদস্য আরিফ খানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ফ্রি ফ্লোটের ভিত্তিতে সূচক পরিমাপ বিনিয়োগবান্ধব এবং সঠিক হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক ওসমান।
তবে তার পরামর্শ, নতুনের সঙ্গে পুরনো সূচকের সমন্বয় করা হলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে। তাই গত তিন-চার বছরকে ভিত্তি বছর ধরে নতুন সূচক চালু করা উচিত।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে বড় বাজার মূলধনের কোম্পানির শেয়ারের দাম একটু বাড়লে বা কমলে সূচকে বেশ পরিবর্তন ঘটে।
“যেমন গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম যদি এক শতাংশ বাড়ে, সূচক প্রায় এক শতাংশ বেড়ে যায়। ফ্রি ফ্লোট সিস্টেমে এলে বড় মূলধনের কোম্পানিগুলোর দাম বাজারকে অনেক বেশি প্রভাবিত করতে পারবে না, সবগুলো কোম্পানির শেয়ারের দামের পরিবর্তন সূচকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে,” বলেন তিনি।
bdnews24.com
এক বছরে ১৫ কোম্পানির তালিকাভূক্তি
শেয়ারবাজারে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা নিন্মমূখী প্রবণতার মধ্যও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) নতুন করে ২১টি কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভূক্তির জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আর এসব কোম্পানির মধ্য ১৫টি কোম্পানি তালিকাভূক্ত হয়ে শেয়ারবাজারে লেনদেনে সক্রিয় হয়েছে। এদের মধ্যে তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড তাদের সাবশক্রিপশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও এখনও তালিকাভূক্ত হতে পারেনি। এছাড়া আরো তিন কোম্পানি রয়েছে যাদের প্রাথমিক ও গণপ্রস্তাব (আইপও) শেয়ারের সাবসক্রিপশন ডেট আগামী বছরে জানুয়ারী ও মার্চে শুরু হবে।
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত হলো শেয়ারের যোগানের সাথে চাহিদার সামঞ্জস্য বজায় রাখা। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে থেকে বাজারে ব্যাপক ধসের কারণ ছিল চাহিদা অনুযায়ী নতুন কোম্পানিগুলোকে বাজারে তালিকাভূক্ত করতে না পারা। যা শেয়ারবাজার ধসে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্তাকর্তারাদের উদ্যোগী ভূমিকায় চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বরে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) কর্তৃক ১৫টি কোম্পানি নতুন করে শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত সম্পন্ন করে।
গত বছর ৮ ডিসেম্বরে যখন বাজার পতন শুরু হয়েছিল তখন বাজার সংশ্লিষ্টরা শেয়ারের অতি মূল্যায়িত হয়ে পড়াকে দায়ী করেছিল। পাশাপাশি বছরের শুরুর দিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা সরকারী শেয়ার অফলোড করতে সরকারকে সজাগ করে দিয়েছিল। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারী ২৬ কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সরকারের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তবে সরকারের ব্যাপক চাপের মুখে দুই একটা কোম্পানি কিছু শেয়ার ছেড়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। এরপরও এসকল কোম্পানির শেয়ার বাজারে আজও অফলোড হবে কিনা তা নিয়ে বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে সংশয়।
নতুন তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানির মোট অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে তারা আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে ৬৬৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে ৫৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং অবশিষ্ট অর্থ দিয়েছে কোম্পানি স্পন্সররা।
নতুন কোম্পানিগুলোর মধ্যে দেশবন্ধু পলিমার ৪০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ১৬ কোটি টাকা এবং স্পন্সারদের কাছ থেকে তুলেছে ২৪ কোটি টাক। সালভো কেমিক্যাল ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ২৬ কোটি ও স্পন্সারদের কাছ থেকে ১৪ কোটি এবং প্লেসমেন্ট থেকে ৫ কোটি সংগ্রহ করেছে। বরকাতুল্লাহ ইলেক্ট্রো ডায়নামিক ৮৬ কোটি টাকার মধ্যে ২০ কোটি আইপিও থেকে, স্পন্সারদের কাছ থেকে ৪১ কোটি এবং প্লেসমেন্টে থেকে ২৫ কোটি সংগ্রহ করেছে। এমআই সিমেন্ট ফাক্টরী ১০০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৩০ কোটি এবং স্পন্সারদের থেকে ৭০ কোটি টাকা। এমজেএল বাংলাদেশ ১৮০ কোটি ৩২ লাখ টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৪০ কোটি এবং স্পন্সারদের থেকে ১৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন পূন: আইপিও থেকে ৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৬২ কোটি ৭৪ লাখ ও স্পন্সারদের থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রেডাক্টস ৪০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে ১৬ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার এবং স্পন্সারদের ২৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে। জাহিন টেক্্রটাইল ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ২০ কোটি এবং স্পন্সারদের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এআইবিএল ফাষ্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। তারা আইপিও থেকে তুলেছে ৫০ কোটি, স্পন্সারদের কাছ থেকে ১০ কোটি এবং প্লেসমেন্টে থেকে তুলেছে ৪০ কোটি টাকা। এমবিএল ফাষ্ট মিউচ্যুয়াল ১০০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে ৫০ কোটি,স্পন্সারদের কাছ থেকে ১০ কোটি ও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা তুলেছে। ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৭৫ কোটি, স্পন্সারদের ২৫ কোটি এবং প্লেসমেন্টে ৫০ কোটি টাকা তুলেছে। সাউথইষ্ট ব্যাংক ফাষ্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১০০ কোটির মধ্যে আইপিও থেকে ৫০ কোটি, স্পন্সারদের ২৫ কোটি ও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা তুলেছে। রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৫৫ কোটির মধ্যে আইপিও থেকে ২৭ কোটি ৫০ লাখ, স্পন্সাদের থেকে ১১ কোটি এবং প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা তুলেছে। এলআরবি গ্লোবাল (বিডি) মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ৩০০ কোটির মধ্যে আইপিও থেকে ১৫০ কোটি, স্পন্সার ৫০ কোটি এবং প্লেসমেন্ট থেকে তুলেছে ১০০ কোটি টাকা । এছাড়া এ বছরে একটি সাব অর্ডিনেটেড ২৫ শতাংশ কনর্ভাটেবল বন্ডস অব ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে আইপিও থেকে ৩০ কোটি এবং স্পন্সারদের থেকে ২৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে ১৮টি কোম্পানি বাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ১০৯৫৫ কোটি এবং প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৮২৫ কোটি টাকা তুলেছে বলে ডিএসইর এক কর্মকর্তা বরাতে জানা গেছে। একই ভাবে ২০০৯ সালেও ১৮টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে ৯২৮২ কোটি ও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৩৬৮ কোটি টাকা বাজার থেকে উত্তোলন করে।
Source:sharenews24.com
Blogger Comment
Facebook Comment